পেন্সিলে লিখা বাবার ডায়েরি (ধারাবাহিক উপন্যাসঃ পর্ব-৩৪)
লিখেছেন লিখেছেন মামুন ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫, ০২:১০:১২ দুপুর
একটা অস্থির সময় পার করছিলাম সবাই।
দেশ চলছিল রাজনৈতিক অস্থিরতায়। সরকারি দল পনেরই ফেব্রুয়ারীর নির্বাচন কে যে কোনো মূল্যে রাজনৈতিক স্থায়িত্ব দিতে ছিল বদ্ধপরিকর। আর বিরোধী আওয়ামী লীগ একে প্রহসনের নির্বাচন আখ্যা দিয়ে ক্ষমতাসীন সরকারকে নামানোর আন্দোলনে আদাজল খেয়ে লেগেছিল। আর এদের সাথে ছিল জামায়াতে ইসলামীর মত ইসলামভিত্তিক দলটি। সম্পুর্ণ দুই মেরুর দুটি রাজনৈতিক দলের এরুপ সহাবস্থান রাজনৈতিক অঙ্গনে বেশ চমক এবং আলোচনার সৃষ্টি করেছিল।
ঘরে বাইরে গ্রামে গঞ্জে সাধারন মানুষ নিজেদেরকে এক চরম বিপর্যয়ের মাঝে আবিষ্কার করে পথ খুঁজে পাচ্ছিল না।
আমার ভূবনে আমিও ছিলাম একা।
নিজের গ্রামে ফাইভ মার্ডারের পর এক ভীতিকর পরিবেশের মাঝে সময়ের পর্দা ভেদ করে নতুন এক আলোর সন্ধানে মনটা ব্যকুল ছিল। অনার্সের রেজাল্টের আর বেশী দিন বাকী ছিল না। এরপর কি হবে যদিও সেটা মাথায় ছিল না। আমি কখনো নিজেকে নিয়ে কোনো ধরণের পরিকল্পনা করে সামনে আগাইনি। তবে তোমার মা কে নিয়ে আমার বিশেষ এক পরিকল্পনা ছিল মিথিলা বাবু।
আমি চাইতাম ও পাশে থাকুক। আমার নিরানন্দ জগতটাকে আলোয় ঝলমলে করে তুলুক।
একদিন লাভলীর চিঠি এলো।
আমি হোষ্টেলে। পিওন এসে দিয়ে গেলো। খামের উপরে সুন্দর হস্তাক্ষর এক অনির্বচনীয় ভালোলাগার আলোআঁধারি অনুভবে হৃদয় বিদীর্ণ করে তুললো।
পেপারে আমাদের গ্রামের ঘটনা পড়েছে সে। এই ব্যাপারে আমার কিংবা আমাদের দলের কোনো সংশ্লিষ্টতা আছে কিনা জানতে চেয়েছে। উদ্বেগে উৎকণ্ঠায় ব্যকুল হয়েছে।
ওর এই টেনশন আমাকে কেন জানি আনন্দ দিলো।
মিথিলা বাবু!
তুমি নিশ্চয়ই হাসছ এটা পড়ে। তোমার আম্মু আমাকে নিয়ে টেনশন করছে আর তোমার পাপা এটা জেনে আনন্দ পাচ্ছে। তোমাকে কিভাবে বোঝাবো বাবু, ঐ সময়গুলোতে লাভলীময় জগতে ওর যে কোনো কিছু অনুভূতি যা আমাকে ঘিরে, আমি চরমভাবে উপভোগ করতাম।
বাবা এলেন। সেদিন ছিল বৃহষ্পতিবার। বি.এল কলেজের মাঠের এক প্রান্তে বসে কথা হল। গ্রামের ঘটনা নিয়ে আমার অনুভূতি জানতে চাইলেন। এই ঘটনার সাথে মনির কোনোভাবে জড়িত কিনা আমাকে জিজ্ঞেস করলেন। বাবার কাছে কখনো মিথ্যে বলিনি। সেদিন প্রথমবারের মত মিথ্যে বলতে চাইলাম।
কিন্তু চোখের দিকে তাকিয়ে গলা কেন জানি কেঁপে গেল। আমার আর বলা হল না। মাথা নিচু করে রইলাম।
যা বোঝার তিনি বুঝে নিলেন।
‘মাস্টার্স পরীক্ষা শেষ হবার আগে আর তুমি গ্রামে যাবে না।‘
আমাকে বলা এই কথাই ছিল সেদিন তার শেষ কথা। আমি হ্যা বা না কিছুই বলতে পারলাম না। তিনি আস্তে উঠে চলে গেলেন।
একজন বাবার পেছন দিকটি দেখতে কেমন?
আমি আমার বাবার পেছন দিকটি দেখে একই মানুষের দুই ভিন্ন অবয়বে আমার প্রতি তার স্নেহের পরিমানটি বুঝতে চাইলাম।
আমার কাছে আমার বাবা সব দিক থেকেই একই লাগল।
পৃথিবীর সকল বাবারা ই কি এমন নন?
রাতে সাদেক ভাইয়ের সাথে ভৈরবে ছইওয়ালা নৌকার ভিতরে দীর্ঘক্ষণ রইলাম। সাথে টিংকু, টাক জাহিদ আর মোশারররফ। ছোটখাট একটা সিটিং হল। প্রসঙ্গ আমাদের গ্রামে বিপ্লবী কম্যুনিস্ট পার্টির সাম্প্রতিক কর্মকান্ড। আমাদের দলের হাই কমান্ড থেকে নির্দেশ এসেছে যে কোনোভাবেই হোক, ওখানে আমাদেরকে ও ঢুকতে করতে হবে।
আমি আমাকে বলা বাবার কথা বললাম।
সাদেক ভাই একটুক্ষণ চিন্তা করলেন। পরে বললেন আমি গ্রামে না যেয়েও এই শহরে বসেই আমার দায়িত্বটুকু পালন করতে পারব। মোশাররফ এবং টিংকুকে ওখানে ফিল্ডে পাঠানো হবে। আমাকে শুধু সমন্বয় করতে হবে।
আমিও অনেকক্ষণ চুপ করে রইলাম। কেন জানি সাদেক ভাইয়ের সামনে সরাসরি না বলতে বাঁধছিল। তিনিও কি সেটা বুঝতে পারলেন?
সেদিন কোনো পরিকল্পনা ছাড়াই আমরা ফিরে এলাম। তবে কিছু একটা পরিকল্পনা যে আমাদের করতেই হবে, এটা নিশ্চিত ছিল। পার্টির কথার বাইরে যাবার কারো ক্ষমতা নেই। যেটা নির্দেশ আসবে পালন করতেই হবে। তবে আমরা আলোচনা করার সুযোগটা পেতাম। নিজেদের মত প্রকাশের ব্যবস্থা ছিল। কিন্তু মানা না মানা তাত্ত্বিকদের এখতিয়ার।
সব ভালো যে তারাই বুঝতেন!
সকল কিছু যে তারাই জানতেন!
সেই সময় ওনাদের ক্যারিশম্যাটিক ইমেজের কল্যাণে এমনটাই আমাদের অনুভব হতো।
আরো পনের দিন কেটে গেল।
দাদীর চিঠির দ্বারা গ্রামের খবরাখবর মায়ের কাছে আসত। মায়ের কাছ থেকে আমার কাছে। আমি সপ্তাহে একদিন শহরের বাড়িতে যেতাম। গভীর রাতে। আমার নিরাপত্তা আরো বাড়িয়ে দেয়া হয়েছিল। খালুর তরফ থেকেও। পার্টির পক্ষ থেকেও। কেমন এক ঘোলাটে অবস্থা ছিল সেই সময়গুলোতে।
মিথিলা বাবু!
সরকারি দলের একজন প্রভাবশালী নেতা হবার সুবাদে খুলনা শহরে খালুর ছিল অঢেল প্রভাব। সেই প্রভাব খাটিয়ে তিনি দু’জন গানম্যান আমার বাড়ি ফেরার দিনগুলোতে নিযুক্ত করেছিলেন। আর পার্টির পক্ষ থেকে সাদেক ভাইয়ের নির্দেশে ছিল তিনজন। দুই মটর বাইকে করে আমরা চারজন সাথে পুলিশের দুজন গানম্যান। ওরাও বাইকে। আইন এবং অপরাধী সহাবস্থান! আমরা যেহেতু নিষিদ্ধ ঘোষিত পার্টি ছিলাম তাই আইনের চোখে আমরা অপরাধী ই ছিলাম। কিন্তু নিজেরা কখনো নিজেদেরকে ঐ দৃষ্টিতে দেখি নাই। আমাদের বুক ভরা ছিল দেশের জন্য কিছু করার প্রত্যয়। বদলে দেবার এক আকাঙ্ক্ষায় নিজেদেরকে তাড়িত করে চলেছিলাম। মোট দশজন ছিলাম আমরা এই দলে। এক টিংকু ছাড়া আর সবাই উচ্চ শিক্ষার আলোয় উদ্ভাসিত। কিন্তু টিংকু নিজের পারিবারিক অনগ্রসরতার কারণে পড়তে পারে নাই। এক জেলে পরিবারের ছেলে ছিল সে। টাক জাহিদ এবং মোশাররফ বি.এল এ আমার সাথেই পড়ত। আমরা পার্টির প্রচার এবং তাত্ত্বিক বিশ্লেষণে নিয়োজিত থেকে সাধারণের মাঝে সামাজিক কাজগুলো করতাম। আমরা কখনো পার্টির জন্য ঠিকাদার কিংবা জোতদারের কাছে থেকে চাঁদা আদায় করতে যেতাম না। ‘খতমের’ লিস্ট তৈরী করে সেটাকে কার্যকরী করার সমন্বয় করতাম না। আমরা ঐ সময়ে খুলনা শহরে কিছু পরিবার কেন্দ্রিক জুলুম নির্যাতনে একেবারে বিত্তহীন মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছিলাম। যদিও পরবর্তীতে দেখেছি, পার্টি সেই সব জুলুমকারীদের থেকে টাকা খেয়ে তাদের মাথার উপরে ছায়া হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাদের অন্যায়কে প্রশ্রয় দিয়েছে টাকার বিনিময়ে। সেদিন আমাদের এই দশজন যে ধাক্কা খেয়েছিলাম তা বর্ণনাতীত। সে অন্য প্রসঙ্গ। যথাসময়ে তোমায় জানাবো মিথিলা বাবু।
মায়ের কাছে আমাকে নামিয়ে দিয়ে ওরা সবাই বাড়ির সামনের চায়ের দোকানে অবস্থান নিল। আমি মায়ের কাছে এলাম। মা তখন তার রুমে। বিছানায় বাদল। ওর সাথে কথা বলছেন। দুজনের হাসিখুশী মুখ দেখে আমার অনেক ভালো লাগল। আমি রুমে প্রবেশ করলাম। আমাকে দেখে কি মা চমকে গেলেন? সামান্য সময়ের জন্য আমার কাছে মনে হল আমি সেটাই দেখেছি। তবে তা থাকলেও ঐ এক পলকের জন্যই ছিল। মা নিজেকে সামলে নিলেন। বাদলের মুখের হাসি আরো বৃদ্ধি পেল। আমি তখনো রুমের মাঝখানে দাঁড়ানো। মা ডাকলেন, ‘ আয়, এইখানে বস।‘
আমি মায়ের পাশে বসলাম। ভালো লাগল। মা আমার মাথায় হাত দিলেন। বেশ আরাম লাগল। হৃদয়টা তোলপাড় হয়ে যাচ্ছিল। প্রচণ্ড বেগে কান্না আসছিল। আমি একটু আগে মায়ের চমকে উঠা কোনো ভাবেই ভুলতে পারছিলাম না।
মা কি বাদলের এই অসহায় অবস্থার জন্য এখনো আমাকে দায়ী করেন?
গ্রামে মনিরের ‘গাল কাটা শেখরে’ পরিণত হবার পিছনে কি আমার কোনো যোগসূত্র খুঁজে বেড়ান?
লাভলীকে কেন্দ্র করে আমাদের দুই পরিবারের তিক্ত অবস্থার জন্য কি আমার ভালোবাসাকে মুল কারণ মনে করেন?
না হলে আমি আসাতে মা কেন চমকে যাবেন?
আমার ছোঁয়া কি সংসারে অমঙ্গল আনবে এটা ভাবেন তিনি?
অনেক কষ্টে সেদিন আমি নিজেকে সামলাতে চেষ্টা করলাম। কিন্তু পারলাম না। আমি মাথা নিচু করে বসে আছি। মা দেখলেন। আমাকে মুখ তুলতে বললেন। আমি তারপরও কিছুক্ষণ সেভাবে রইলাম। এবার মা নিজেই আমার চিবুক তুলে ধরলেন।
আমি চোখের পানি ধরে রাখতে পারলাম না। ফুফিয়ে কেঁদে উঠলাম।
মা অবাক হলেন। বললেন, ‘ কি রে? কাঁদছিস কেন?’
আমি মায়ের দিকে তাকিয়ে সেখানে পুঞ্জীভূত অপার মাতৃস্নেহের প্রবল ঢলে নিজেকে বিস্মৃত হলাম। একটু আগের চিন্তার কারণে খুব লজ্জিত হলাম। কিন্তু ঐ মুহুর্তে আমাকে কান্নার একটা উপযুক্ত কারন তো বলতেই হবে।
‘তুমি বাবাকে বলে দাও আমাকে যেন গ্রামের বাড়ি যেতে বাঁধা না দেয়।‘
ফস করে বলে দিলাম।
মা এবার অবাক হলেন। কিছুক্ষণ আমার দিকে তাকিয়ে রইলেন। এরপর হেসে বললেন-
‘দেখ পাগলের কান্ড। এতো বড় হয়েছিস, এর জন্য এখনো কান্না করতে হবে?’
আমার চোখের পানি নিজে মুছিয়ে দিলেন। এরপর বললেন, ‘আচ্ছা আমি তোর বাবাকে বলে দেবো।‘
বাদল অবাক হয়ে আমাকে দেখছিল। আমার কয়েক বছরের ছোট এই পঙ্গু ভাইটি কি কিছু বুঝতে পারল? সে ও তো আমার পিঠাপিঠি একই পরিবেশে বড় হয়েছে। মাকে বলা আমার কারণটা বোধহয় ওর কাছে যউক্তিক মনে হল না।
‘তুই কি রাতে থাকবি?
মায়ের কথায় সম্বিৎ ফিরে আসে। বাদলের তাকানোটা মনের ভিতরে একটুখানি খচ করে বিঁধলেও আমি মায়ের দিকে তাকিয়ে হাসলাম।
‘না মা বাইরে ওরা আছে। আমাকে যেতে হবে।‘
মা কি মনক্ষুন্ন হলেন? একটা দীর্ঘশ্বাস গোপন করে বললেন-
‘ও’।
বিলুর মা দরোজার সামনে দাঁড়ানো ছিল সে বলল, ‘ভাইজান রাতে খাইয়া যান।‘ ওর কথায় মা আমার দিকে তাকালেন। সেই দৃষ্টিতে নীরব মিনতি কি ছিল? আমি মায়ের চোখে তাকিয়ে বললাম, ‘আচ্ছা।‘
মা খুশী হলেন। একজন মায়ের হাসিমুখের চাইতে এই পৃথিবীতে সুন্দর কোনো প্রতিকৃতি আর রয়েছে কিনা আমার জানা নেই।
মিথিলা বাবু!
সেই রাতে মা আমাকে নিজের হাতে খাইয়ে দিলেন। কতগুলো বছর পর আমি যেন আমার আনন্দঘন শৈশবে ফিরে গেলাম। সেই আমার ক্লাশ ফাইভে পড়ার সময়ে শেষবার বোধহয় মা আমাকে খাইয়ে দিয়েছিলেন। সেই সময়ের কথা মনে পড়ল। একটা কবিতাও খুব দাগ কেটেছিল মনে ঐ সময়ে। শৈশব নিয়ে। শৈশবের কথা আসায় এই কবিতাটি হারানো কিছু স্মৃতির প্ল্যাটফর্মে একটা বুকমার্কের কাজ করল সেই মুহুর্তগুলোকে নিউরণ থেকে হৃদয়ে ফিরিয়ে আনতে।
মিথিলা বাবু!
আজ কবিতাটির দুটো লাইনের বেশী আর কিছু মনে নেই-
‘মোর শিশুকালে আমি ফিরে যেতে চাই
দু’নয়ন মুদে যার স্মৃতি শুধু পাই’।
আমি মায়ের কাছে থেকে বিদায় নিয়ে বাড়ির বাইরে বের হই। বাইরে ঘন কালো অন্ধকারে বিপদ ওত পেতে আছে। পুরো দেশটাই বিপদসংকুল হয়ে ছিল। আমার পরিবার, সমাজ গোটা রাষ্ট্র এক অন্ধকার টানেলের ভিতর দিয়ে আলোর সন্ধানে ইতস্তত বিচরণ করছিল। সেখানে আমরা কয়েকজন আলোর উৎসমুখকে খুঁজে বেড়ানোর তাড়নায় পতঙ্গের মত আগুনকে আলোভেবে ঝাঁপিয়ে পড়তে চাইছিলাম।
আমরা বিপ্লবী হয়েছিলাম একটা পরিবর্তন আনার জন্য।
আমরা চরমপন্থী দলে থাকলেও আমরা দলের নীতিনির্ধারকদের চাপিয়ে দেয়া কর্মকান্ডকে মন থেকে মেনে নিতে পারছিলাম না। আমরা চলতে চাইছিলাম আমাদের মত করে। কিন্তু পুরো দেশটা যে অবক্ষয়ের পঙ্কিল স্রোতে ভেসে চলেছিল, সেই স্রোতের প্রতিকূলে আমরা কয়েকজন মায়ের আদরের সন্তান হঠাত করে বিপ্লবী বনে গিয়ে কি ই বা পরিবর্তন আনতে পারতাম?
রাতের আঁধারে টিংকু আর টাক জাহিদের পেটানো শরীর আমার কাছে এগিয়ে এলো। সরকারী গানম্যানেরাও আধার ফুঁড়ে কিভাবে জানি সামনে চলে এলো। রাতের আঁধার কেটে তিনটি মটর বাইক দৌলতপুরের দিকে আমার নিরাপদ আশ্রয়ে এগিয়ে চলছিল। বাইকের হেডলাইটের আলোয় উন্মুক্ত পতঙ্গেরা ঝাঁপিয়ে পড়ে নিজেদেরকে শেষ করে দিচ্ছিল। মৃদুমন্দ বাতাসে এক প্রগাড় বিষাদময়তায় আবিষ্ট হতে হতে নিজেকে ঐ পতঙ্গের যায়গায় কল্পনা করলাম।
একমুহুর্ত মনে হল আমরা কি সঠিক পথে চলেছি?
(ক্রমশঃ)
বিষয়: সাহিত্য
৯২৭ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ মানুম ভাইকে.....।
ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য।
সময় আসলেই রহস্যময়!কুল-কিনারা পাওয়া যায়! এক সময় যে বিষয়টাই সব চেয়ে ভাল-কাংখিত মনে হয় সময়ের বিবর্তনে তাই কত কুৎসিত হয়ে ধরা দেয়!!
ভালো লাগল!জাযাকাল্লাহু খাইরান!!
বারাকাল্লাহু ফীহ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন